শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ন
আবেদ হোসাইন, যশোর প্রতিনিধি, কালের খবর :
জীবন দিয়ে আনতে হয়েছে মধূময় বাংলা ভাষা। ২১ ফেব্রুয়ারি পালিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস । আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের নির্দেশ দিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস। অথচ জেলার ২ হাজার ২৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১ হাজার ৫২৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এরমধ্যে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়েই নেই শহিদ মিনার।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার আট উপজেলার ১ হাজার ২৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১ হাজার ৩৯টি বিদ্যালয়ে। এর মধ্যে সদরে ২৫০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ২২৬টিতে। ২৪টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে। চৌগাছার ১৩৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১৩১টি বিদ্যালয়ে। ৮টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে। ঝিকরগাছার ১৩১টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১১২টি বিদ্যালয়ে। ১৯টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে।
কেশবপুরের ১৫৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১৪১টিতে। ১৭টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে। শার্শার ১২৫টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১০১টি বিদ্যালয়ে। ২৪টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে। অভয়নগরের ১১৭টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১০১টিতে। ২৪টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে। মণিরামপুরের ২৬৭টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১৮২টি বিদ্যালয়ে । ৮৫টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে। বাঘারপাড়া ১০২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ৮২টি বিদ্যালয়ে। ২০টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে। এদিকে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানিয়েছে, জেলার ১ হাজার ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ৪৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ৫১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার আছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম গোলাম আযম জানান, প্রতিটি স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে শহিদ মিনার নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যাদের সামর্থ্য আছে তারা নিজ খরচে প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ করবে।